এবার বিয়ের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠেছে আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুবের সংসারে। বিভিন্ন সময় ইঙ্গিতের পর অবশেষে গতকাল বুধবার ৩১ মে রাত ৮টা ৫৮ মিনিটের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে কথা হয় সানাই মাহবুবের স্বামী আবু সালেহ মুসার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একটু আগেই ভালো ছিল। হঠাৎ বটি নিয়ে এসে আমায় আঘাত করে। পরে ভাগ্য ভালো বাসা থেকে বাইরে চলে আসতে পারছি।
আজকে ঝাড়ু দিয়া মাইরও দিছে, এর আগে লাথিও মারছে তবুও আমি কিছু বলি নাই। আজকে দুই তিনটা লাথি মারছে, আমার কিডনির সমস্যা করে দিছে। তারপরও আমি কিছু বলিনি। তার সঙ্গে আজ একটু কথা কাটাকাটি হইছে এজন্য ঝাড়ু দিয়া মাথায় মারছে। তারপর আমি একটা থাপ্পড় দিছি। সেও আমাকে দুইটা থাপ্পড় মারছে। আমাকে প্রায় মারে এভাবে।
তিনি বলেন, আমি এ নিয়ে কিছু বলি না, কারণ চাই সর্ম্পকটা টিকে থাকুক। সে আমাকে আজকে বলে এই তুই আমাকে চড় মারিস, তুই আমাকে চিনস। তখন আমি হাসতে হাসতে বলেছি, দুই তিনশ চড় মারছো আমি একটা মারলামই না হয়। তারপর সে চেয়ার দিয়ে আমার শরীরে মারছে, রান্নাঘরে গিয়ে বটি আনছে মারার জন্য আমি তাই দেখে পালানোর চেষ্টা করি। এমন সময় আমার হাতে বটি দিয়ে আঘাত করে। ভাগ্য ভালো আমি বটি ধরতে পারছি। না ধরলে আজকে আমি মার্ডার হয়ে যাইতাম।’
তিনি আরও বলেন, আমি একটু শাসন করব সেটাই অপরাধ। আমি একটু কেয়ার করলে সেটাও অপরাধ। আমাদের মধ্যে কোনো কিছু গ্যাপ ছিল না। ফ্যামিলি থেকে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। ওরা আসেও না আমাদেরকে দেখেও না। এসে তো সমাধান বের করবে।
তিনি বলেন, চাকরিটা হচ্ছে মূল সমস্যা। কোনো ফ্যামিলি সমাধান করে দেয় না। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আজকে তো আমাকে কিডনিতে আঘাত করছে তারপরও কিছু বলিনি। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে কথা কাটাকাটি হবে, কিন্তু হাতাহাতি কেন? এ বিষয়ে সানাই মাহবুবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।